, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪ , ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ


 সুপার ফোরেও ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ বাতিল হওয়ার শঙ্কা 

  • আপলোড সময় : ০৬-০৯-২০২৩ ০৪:৩৬:৫৯ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ০৬-০৯-২০২৩ ০৪:৩৬:৫৯ অপরাহ্ন
 সুপার ফোরেও ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ বাতিল হওয়ার শঙ্কা 
এবার বৃষ্টির কারণে এশিয়া কাপের গ্রুপ লিগের ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ ভেস্তে গিয়েছিল। আগামী রবিবার ১০ সেপ্টেম্বর সুপার ফোরে আবার মুখোমুখি হবে দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী। সেই মহারণ নিয়েও সংশয় দেখা দিয়েছে। ভারতীয় শীর্ষস্থানীয় এক সংবাদমাদ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওই দিন শ্রীলঙ্কার রাজধানী কলম্বোতে বৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে। যদি তেমনটিই হয় তাহলে আবার হতাশ হতে পারেন বিশ্বের কোটি কোটি ক্রিকেটপ্রেমী।

আগামী রবিবার ১০ সেপ্টেম্বর কলম্বোতে সারা দিন ধরে বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। সেদিন ৯০ শতাংশ বৃষ্টি হতে পারে। ইতোমধ্যে বজ্রসহ বৃষ্টির আভাস দিয়েছে স্থানীয় আবহাওয়া অধিদপ্তর। প্রতি ঘণ্টায় ১৫ থেকে ৩০ কিলোমিটার গতিবেগে বাতাস বইতে পারে। পূর্বাভাস সত্যি হলে খেলায় ব্যাঘাত ঘটতে পারে। কলম্বোতে গ্রুপ পর্বের প্রায় সব ম্যাচেই বৃষ্টি হয়েছে। ফলে ফাইনালসহ সুপার ফোরের ম্যাচগুলো সেখান থেকে অন্যত্র সরিয়ে নেয়ার পরিকল্পনা হয়েছিল।

বিকল্প মাঠ হিসেবে হাম্বানটোটায় ম্যাচগুলো সরিয়ে নেয়ার চিন্তাভাবনা করা হয়েছিল। পাল্লেকেলে ও ডাম্বুলা নিয়েও আলোচনা হয়। তবে তা নিয়ে আপত্তি জানায় টুর্নামেন্ট সম্প্রচারকারী চ্যানেল কর্তৃপক্ষ। সর্বোপরি, অন্যত্র ম্যাচ সরানোর ক্ষেত্রে আপত্তি ছিল সম্প্রচারকারী সংস্থার। কারণ, তেমনটি হলে সব কর্মী এবং ক্যামেরাসহ যন্ত্রপাতি নতুন ভেন্যুতে নিয়ে যেতে হতো তাদের। যা সময়সাপেক্ষ ব্যাপার।

শেষ পর্যন্ত ম্যাচ সরানোর সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসে এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল (এসিসি)। কলম্বোতেই ফাইনালসহ সুপার ফোরের ৪টি ম্যাচ আয়োজনের সিদ্ধান্ত হয়। এশিয়া কাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে পাকিস্তানের  মুখোমুখি হয় ভারত। শাহিন শাহ আফ্রিদি, হারিস রউফ ও নাসিম শাহর পেস দাপটে ভারতীয় টপঅর্ডার ভেঙে পড়ে। রোহিত শর্মা, শুভমান গিল, বিরাট কোহলি, শ্রেয়াস আইয়ার ফ্লপ হন। 

পরে বুক চিতিয়ে লড়েন ঈশান কিশান ও হার্দিক পান্ডিয়া। ঈশান ৮২ ও হার্দিক ৮৭ রান করেন। এতে ৪৮.১ ওভারে ২৬৬ রানে অলআউট হয় ভারত। এতে লড়াইয়ের পুঁজি পায় টিম ইন্ডিয়া। রোহিতদের ইনিংসের পরই প্রবল বৃষ্টি শুরু হয়। পরে  আর খেলা শুরু করা যায়নি। ভারত-নেপাল ম্যাচেও তা থাবা বসায়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সেটা সম্পন্ন করা যায়। যেখানে ডাকওয়ার্ত-লুইস পদ্ধতিতে ১০ উইকেটে জেতে টিম ইন্ডিয়। অবশ্য ম্যাচ দুটি হয় পাল্লেকেলেতে।
সর্বশেষ সংবাদ